উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার দেখা নেই,পাওয়া যায় নিজস্ব ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে

স্টাফ রিপোর্টারঃ পেশায় তিনি একজন উপসহকারি মেডিকেল অফিসার। তার চাকুরিস্থল কাজিপুরের চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

অফিস সময়ে তাকে কোন রোগী ওই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পান না বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় অফিসে না পাওয়া গেলেওওই ডাক্তার উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশেই নিজস্ব চেম্বার খুলে বসেছেন। সেখানে ডাঃ মাকসুদা পারভীন নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেখছেন রোগী। আর চেম্বারের পাশের টিনশেড ঘরের কক্ষে তিনি চালাচ্ছেন ডায়াগনোস্টিক ব্যবসা।করেন আলট্রাসনোগ্রাফির মতো পরীক্ষা। 

গত বুধবার(১২ আগস্ট) সরেজমিন গিয়ে এই ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে। হাসপাতাল চলাকালিন সময়ে ওই উপসহকারি মেডিকেল অফিসারকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ঐশি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের চেম্বারে গিয়ে পাওয়া যায়। ওই সময়ে তিনি একজন রোগির চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ডা. মাকসুদা নাটুয়ারপাড়া যোগদানের পূর্বে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। সেখানেও তিনি ডায়াগনোস্টিক ব্যবসা চালিয়ে গেছেন। নাটুয়ারপাড়া যোগদানের পরে সেই ডায়াগনোস্টিকের যন্ত্রপাতি এখানে নিয়ে এসেছেন। তিনি নিয়মিত আলট্রাসনোগ্রাফি পর্যন্ত করে চলেছেন।   


কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, তার সরকারি পদবী স্যাকমো মাকসুদা পারভীন।  কোনভাবেই তিনি আলট্রাসনোগ্রাফির  মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করতে পারেন না।এদিকে ওই ডাক্তার তার সাইনবোর্ডে নামের শেষে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল আলট্রাসনোগ্রাফি বলে উল্লেখ করেছেন।রোগী গেলে তিনি তার নিজস্ব প্যার্ডে ওই ডিগ্রী ব্যবহার করে চিকিৎসাপত্র দিয়ে চলেছেন। ডাঃ মাকসুদা পারভীন নামের সাইনবোর্ড ও ছাপানো প্যাড ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা তিনি প্রতারণা করে যাচ্ছেন।

সরকারি দায়িত্ব পালন না করে ক্লিনিকে কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. মাকসুদা পারভীন জানান, ‘স্থানীয় এক মাস্টারের ছেলের পা কেটে যাওয়ায় তাকে ফোন করে আনা হয়েছে।  

ঐ কাজ আপনি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে করতে পারতেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।

 কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ মোমেনা পারভীন পারুল জানান, তিনি (মাকসুদা পারভীন) কোনভাবেই অফিস সময়ে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে চিকিৎসা দিতে পারেন না। আর ‘ মা ও শিশু রোগ চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার  এসব ব্যবহার করে তিনি প্যাডে ডাক্তার লিখে চিকিৎসাপত্র দিতে পারেন না।এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

  (অনুলিখনঃ সাংবাদিক শাহজাহান আলীর টাইমলাইন থেকে)


No comments

Powered by Blogger.