রুদ্ধশ্বাস জয়ে সেমি-ফাইনালে পিএসজি
সময় ফুরিয়ে আসছিল, ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা জেঁকে বসেছিল পিএসজি শিবিরে। ভয়ডরহীন ফুটবলে তাক লাগিয়ে দেওয়া আতালান্তার ইতিহাস গড়ার মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। তবে, নাটকীয়তার সব রং যেন তোলা ছিল শেষের জন্য। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সমতা টানলেন মার্কিনিয়োস। আর যোগ করা সময়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং। ছিটকে যাওয়ার দুয়ারে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য এক জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে পা রাখলো পিএসজি।
পর্তুগালের লিসবনে বুধবার রাতে এক লেগের কোয়ার্টার-ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে উঠল পিএসজি। ১৯৯৫ সালে প্রথমবার সেমি-ফাইনালে খেলেছিল তারা।
আক্রমণাত্মক ফুটবলে আলো ছড়ানো দুই দলের লড়াইয়ের শুরুতেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পায় পিএসজি। মাঝমাঠে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন নেইমার। কিন্তু ‘ওয়ান-অন-ওয়ানে’ করে বসেন অবিশ্বাস্য ভুল, নেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট। দলের সেরা তারকার এমন সুযোগ হাতছাড়া করায় হতাশায় মুখ ঢেকে ফেলেন পিএসজি কোচ, মাথায় হাত বেঞ্চে থাকা কিলিয়ান এমবাপেদের।
৯০তম মিনিটে ডান দিক থেকে চুপো-মোটিংয়ের ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি নেইমার। বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে গোলমুখে পেয়ে যান মার্কিনিয়োস। টোকায় বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের।
আর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আতালান্তার হৃদয় ভেঙে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান ১৩ মিনিট আগে ইকার্দির বদলি নামা চুপো-মোটিং। নেইমারের পাস পেয়ে ছোট ডি-বক্সে বাড়ান এমবাপে আর স্লাইড করে বল জালে পাঠান ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ড।
প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পিএসজি খেলবে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও লাইপজিগের মধ্যে বিজয়ীর বিপক্ষে।
No comments